মাজহারুল ইসলাম বাদল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার
শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ এর পদত্যাগ’র দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল এন্ড কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী প্রাক্তন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ।
এসময় ছাত্র ছাত্রীরা নানাবিধ অনিয়ম লুটপাট এর অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগ এর দাবি জানায় পরে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত্বাবধানে নবীনগর থানার ওসি এবং সেনাবাহিনীর অফিসারদের উপস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে সংহতি জানিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ৭ দিনের মধ্যে ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে এই আন্দোলন কে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছি এবং যদি ৭ দিনের মধ্যে কোন ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ না করা হয় তবে ছাত্র জনতা অভিভাবক দের মার্চ টু শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোরস্কুল এন্ড কলেজ এর আয়োজন করা হবে।
তাদের এক দফা এক দাবী অধ্যক্ষের পদত্যাগ, এছাড়া কোন বিকল্প সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন না বলে জানান।
অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গুলো নিন্মরুপ-
১:- স্কুল কলেজ এর সকল উন্নয়ন কাজের মালামাল সবকিছু তার ভাইয়ের দোকান থেকে চড়া মূল্যে ক্রয় করা।
২:-বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ বাঁধা প্রদান করা পুলিশ এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর লেলিয়ে দেওয়া।
৩:- অর্থ লুটপাট স্কুলের এক ঘাটলা কে তিন বার ভেঙ্গে ব্যায় বাড়ানো।
৪:-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সাথে খারাপ ব্যাবহার করা। গরীব কোন স্টুডেন্ট টাকা পয়সা ছাড় এর জন্য গেলে পড়াশোনা ছেড়ে কামলা দিতে যাওয়ার মতো কথা বলতেও ২ বার চিন্তা ভাবনা করে না।
৫:-ভর্তি এবং নিয়োগ বানিজ্য করা। পছন্দের লোকদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া এবং মুখ পরিচিত স্টুডেন্ট দের অর্ধেক টাকায় ভর্তি করানো সহ আরও বহু অভিযোগ উঠে আসে
৬:-স্কুলের অফিস কক্ষ কে রাজনৈতিক কার্যালয় করে ফেলা
৭:-রেজিস্ট্রেশন এবং ফর্মফিলাপের সময় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া।
৮:- বিগত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় নিজেকে যুক্ত করা।
এছাড়াও এই অধ্যক্ষ নিয়োগ পরিক্ষায় ৩য় হউয়া সত্যেও তিনি বিগত দিনে,প্রতিষ্ঠান প্রদান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা যায়।